প্রযুক্তির দুনিয়ার নতুন নক্ষত্র সৌরভ ও দীপক

প্রযুক্তির দুনিয়ার নতুন নক্ষত্র সৌরভ ও দীপক

Tuesday September 22, 2015,

2 min Read

পিছনে কাজ করছে দু’জনের মস্তিষ্ক৷ আর তাতেই সমাধান হয়েছে একাধিক সমস্যার৷ তাঁদের তৈরি নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে চলেছে৷ তাঁরা হলেন দীপক সোলাঙ্কি ও সৌরভ গর্গ৷ ২০১৪ সালে তাঁরা এবং তাঁদের সংস্থার পথচলা শুরু৷ ইতিমধ্যেই প্রযুক্তির দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন তাঁরা এবং তাঁদের সংস্থা ভেলমেনি৷ ওয়াই-ফাই টেকনোলজিকে টেক্কা দিতে পারবে এমন টেকনোলজিরও পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে ফেলেছেন দীপক ও সৌরভ৷ শুধু তাই নয়, তৈরি করেছেন নতুন ধরণের এলইডি আলোও৷ যার নাম তাঁরা দিয়েছেন জুগনু৷ স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অনায়াসে যার রং পরিবর্তন করা যাবে৷ 

আর সে বছরই এস্টোনিয়ার এক হার্ডওয়ার সংস্থার প্রস্তাব আসে তাঁদের কাছে৷ আর সেখানের বিভিন্ন শিল্পে তাদের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়৷ পরে ফের দিল্লি ফিরে আসেন তাঁরা৷ তবে, লাই-ফাই টেকনোলজি তৈরির আগেও সাফল্য পেয়েছে ভেলমেনি৷ দিল্লির ট্রাফিক লাইট সমস্যার সমাধান হয়েছে তাঁদের হাত ধরেই৷ দু’বছর আগে সেখানকার ৫০ শতাংশ ট্রাফিক লাইট ঠিকমতো কাজ করত না৷ দীপকের কথায়, ‘আমরা সেই সমস্যা সমাধানের সুযোগ নিয়েছিলাম৷ আর তাতে সাফল্যও এসেছিল৷ এখন ভালোই কাজ করছে রাজধানীর রাজপথের ট্রাফিক লাইট৷’


image


কিন্তু, কী এই লাই-ফাই? এটি খুবই জটিল টেকনোলজি৷ শুধুমাত্র ইউরোপ, জাপান ও আমেরিকার কয়েকটি রিসার্চ ল্যাবে এটি সফলতার সঙ্গে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে৷ আর ভারতীয় হিসেবে দীপক ও সৌরভ-ই এটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করেছে৷ এর মাধ্যমে অনেক দ্রুত তথ্য আদানপ্রদান করা সম্ভব হয় বলে দাপকের দাবি৷ তবে, এর মাধ্যমে আরও দ্রুত যাতে তথ্য আদানপ্রদান করা যায়, তার উপরই এখন জোর দিয়েছে ভেলমেনি৷


image


বিমান পরিষেবা আরও উন্নত করতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তাঁরা৷ দীপক বলেন, ‘ছোট ছোট বিমানগুলিতে প্রত্যেক যাত্রীর আসনের সামনে কোনও স্ক্রিন থাকে না৷আমরা এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছি যেটি যাত্রীদের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে৷ আলোর মাধ্যমে এই ডিভাইসটি বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে৷ আর তা অনায়াসে যাত্রীদের ফোন বা ল্যাপটপে চলে আসবে৷’

আর এভাবেই ভবিষ্যতে লাই-ফাই-ই ওয়াইফাই টেকনোলজির জায়গা নেবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তাঁরা৷ ওয়াইফাই টেকনোলজি ব্যবহারে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তারই ফসল তুলবে তাঁদের এই নতুন টেকনোলজি৷ ওয়াইফাইয়ের থেকে একশ গুণ দ্রুত সবকিছু ডাউনলোড করা সম্ভব হবে বলেও তাঁদের দাবি৷