"সব হোক ইন্টারনেটে" কর্মশালা ক্যাম্পাসকর্মার

"সব হোক ইন্টারনেটে" কর্মশালা ক্যাম্পাসকর্মার

Wednesday March 02, 2016,

3 min Read

ছোটোবেলায় এক সাহেবের গল্প শুনেছিলাম, তাঁর হাত ঘড়িটা দেরি করে চলছিল বলে সে সেটা ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল নর্দমায়।এখন এমন দিন পড়েছে যে হাতের মুঠো ফোনে যদি ইন্টারনেট না থাকে তাহলে ওই সাহেবটা মগজে চড়ে বসে। মনে হয় ওটা ছুড়ে ফেলে দিই। ইন্টারনেটেরও আজকাল কৌলিন্য আছে। আপনি কোন জেনারেশন ব্যবহার করছেন সেই অনুযায়ী আপনার জেনারেশনের মাপজোক হয়। সেটা জানেন কি! শুধু মোবাইল ফোন কেন এখন দিনে দিনে দেখতে পাবেন আপনার সাধের কাঠের টেবিলটাও হয়ত ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করবে। মনে রাখবে এটায় বসে ঠিক কতক্ষণ কাজ করেছেন কী কী করেছেন, কোন কোন হিসেবে গড়মিল হল তাও হয়ত বলে দেবে আপনার স্মার্ট টেবিল। এতো কেমন হতে পারের কথা বললাম, কিন্তু ইতিমধ্যেই অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে দুুনিয়া। গ্রিন অ্যাডবিন নামে একটি কলকাতার স্টার্টআপ সংস্থার কর্ণধার জয় পানসারির সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল, ও বলছিল ওদের ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেই নাকি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড জেনারেট হয় তা দিয়ে ওয়াই ফাই অ্যাকসেস হতে পারে। ফলে এটা স্পষ্ট যে সব জিনিসের সঙ্গে ইন্টারনেট ক্রমশই জুড়ে যাচ্ছে। The Internet of Everything (IoE) বলতে সেইসব যন্ত্র গুলোকে বোঝাচ্ছে যেগুলো ইন্টারনেটে চলে। এতদিন ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ফোন এসবই বোঝাতো এখন আরও অনেক কিছুই চলে এসেছে এই বৃত্তের ভিতর। দিনে দিনে সব জিনিসই ইন্টারনেটের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। স্মার্ট মেশিন থাকলেই তো হল না সেটা চালাতেও তো জানতে হবে। প্রযুক্তি প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য আর বাস্তব জীবনে মেশিন চালনা করতে পারার সমস্যা গুলোও খুব স্বাভাবিক। আর এই মজাদার বিষয়টা নিয়েই একটা ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে ক্যাম্পাস কর্মা। ক্যাম্পাস কর্মার প্রতিষ্ঠাতা রোহিত গুপ্তা জানালেন ওরা এই ওয়ার্কশপে গাঁটছরা বেঁধেছেন আরও একটি স্টার্টআপ কোডেব্লিক্স-এর সঙ্গে। 


image



Codeblix দেশের প্রথম অনলাইন এবং অফলাইন দক্ষতা নির্ধারণ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। শিল্পক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত চাহিদা এবং কলেজের মন্ধাতা আমলের সিলেবাসের মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে সেটা দূর করতেই কোডব্লিক্স কিছু অফলাইন ফিচার চালু করতে চলেছে। ৭ মার্চ সেই অফলাইন ফিচারগুলিও লঞ্চ করবে কোডব্লিক্স। Codeblix এর মত Campus Karma ও মনে করে পুথিগত বিদ্যে দিয়ে এই দ্রুতগামী প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা যাবে না। পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে। পাঠক্রমের জড়তা এবং নিত্যদিনের বদলে যাওয়া প্রযুক্তির এই দোটানা পরিস্থিতির মধ্যে ফাঁপরে পড়া ছাত্রদের সঠিক দিশা দেখাতেই এই দুই সংস্থা গাঁটছরা বাঁধছে। সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে ক্যাম্পাস কর্মা। কোডব্লিক্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজেছেন। ক্যাম্পাস কর্মার প্রতিষ্ঠাতা রোহিত গুপ্তার মতে তাদের দেখানো পথই একমাত্র সমাধান সূত্র।

স্মার্ট ফোনকে স্মার্ট ভাবে ব্যবহারই করতে জানেন না অনেকেই। রোহিত বলছিলেন স্মার্টফোনে অনেক ইনবিল্ট সেনসর থাকে যার পাওয়ারকে কমিয়ে বাড়িয়ে দৈনন্দিন জীবনের অনেক সমস্যা মেটানো সম্ভব। আপনি আপনার অনুপস্থিতিতেও স্মার্টফোনটিকে আপনার বাড়ির পাহারাদারের কাজে রাখতে পারেন। অফলাইন ওয়ার্কশপে এরকমই অনেক নাজানা বিষয় নিয়ে চলবে মগজমারি। শেখানো হবে অনেক কিছুই। প্রবেশ অবাধ।

আর মে জুন মাস নাগাদ অনলাইন টুল হিসেবে codeblix চালু হবে। Codeblix গ্রহনযোগ্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে সমস্যাগুলির সমাধান দেবে তাদের অনলাইন পোর্টালে। ছাত্রদের কোডিং দক্ষতাকে আরও চাঙ্গা করে দেবে এই অনলাইন কোডিং ইঞ্জিন। শুধু তাই নয় এরা একটা অনলাইন hackathons এর আয়োজন করতে চলেছে যার উদ্দেশ্য হল কোডিং এর মারফত বাস্তব জীবনের নানা সমস্যা সমাধান করা। তাদের স্মার্ট algorithm, শিক্ষক আর অ্যাডমিনদের দেওয়া দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জে এবং hackathons এ ছাত্রদের পারফরম্যান্স ক্যালকুলেট করবে। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে স্পেশাল সার্টিফিকেট। যোগ্যতম আর ট্যালেন্টেড ছাত্রকে নিয়োগ করার জন্যে তাদের পার্টনার নিয়োগকারীদের কাছে রেফারও করবে।