এবছর টাটা সোশ্যাল আন্ত্রেপ্রাইজ চ্যালেঞ্জের মূল পর্বে সেরা কুড়ির তালিকায় ছিল যে সব স্টার্টআপ তাদের মধ্যে কাজের বিস্তর বৈচিত্র রয়েছে। ওই তালিকা থেকে এমনই তিনটি স্টার্টআপের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিচ্ছি। বাকিদের সঙ্গেও আলাপ করাবো আপনাদের। এই তিনটির একটি কলকাতার, একটি ওড়িশার এবং একটি চেন্নাইয়ের। কাজে কোনও মিল নেই। কিন্তু উদ্দেশ্য কোথাও এক। তা হল দেশ এবং দেশের মানুষ।
কলকাতার উই কেয়ার
এদেশের বহু বয়স্ক মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে এখনও বঞ্চিত। তাঁদের কাছে চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দিতে কাজ করছে উই কেয়ার নামের সংস্থাটি। উই কেয়ার কলকাতার একটি স্টার্ট আপ। সংস্থাটির কাজের ক্ষেত্র স্বাস্থ্য পরিষেবা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বয়স্কদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় তথ্যেরও জোগান দিয়ে থাকে। এব্যাপারে উই কেয়ারের তরফে জানানো হয়েছে, এই কাজটি করা হয়ে থাকে নাগালের মধ্যে থাকা খরচেই। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী দিনে আরও কিছু কাজে হাত দিতে চলেছে উই কেয়ার।
Zoofresh foods pvt ltd
ওড়িশার সংস্থা জুফ্রেশ ফুড প্রাইভেট লিমিটেড। তিন বছর আগে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠা। ইতিমধ্যেই ভালো কাজ করছে জুফ্ৰেশ। সংস্থার নিজস্ব অনেকগুলি খামার রয়েছে। সেখানে মুরগি প্রতিপালন করা হয়। পাশাপাশি মৎস্যচাষও করা হচ্ছে। এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষজন। সেইসঙ্গে স্বল্প দামে উত্পাদিত পণ্য বিক্রি করছে এই সংস্থা। বিক্রি করা হচ্ছে নিজস্ব কয়েকটি আউটলেট থেকে। আউটলেটগুলির নামকরণ করা হয়েছে ফ্রেশ চিক নামে। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক মুক্ত মাছ ও মুরগির মাংস বিক্রি করা হয়ে থাকে। শুধু গ্রামীণ এলাকা নয় শহরাঞ্চলের মানুষের ভিতরও এদের উত্পাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফ্রেশ চিক যৌথভাবে কাজ করছে ওড়িশা পোলট্রি ফেডারেশনের সঙ্গে গাঁটছডা় বেঁধে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও সহায়ক প্রযুক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে।
Paperman
২০১০ সালে পেপারম্যান কাজ শুরু করে। সংস্থাটি বিকল্প অর্থনীতির ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিতকরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত। সে হিসাবে নাগরিকদের প্রধানত বর্জ্য পুনর্নবীকরণের কাজে সহায়তা করে থাকে। রি-সাইক্লিং-এর ক্ষেত্রে এদেশে সরবরাহ সংক্রান্ত যে বিপুল ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণ করাই পেপারম্যানের লক্ষ্য বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।