মাইক্রোসফ্‌টের ফোকাস সংস্কৃতি-মূল্যবোধে

মাইক্রোসফ্‌টের ফোকাস সংস্কৃতি-মূল্যবোধে

Wednesday November 04, 2015,

2 min Read

কর্পোরেট সংস্থায় সংস্কৃতি বা কালচারের কথা উঠলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে ওয়ার্ক কালচার বা কর্মসংস্কৃতির কথা বলা হচ্ছে। যেমন - অফিস ডিউটির সময় নিজেকে উজার করে দাও, কাজের মানুষের কাছে কাজই ধর্ম। ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি।

কিন্তু মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লার কাছে সংস্কৃতি মানে ওসব নয়। নাদেল্লার মূল্যবোধের সংস্কৃতির শিকড় আরও গভীরে। তাতে গূঢ় দর্শন রয়েছে। একটি দীর্ঘ চিঠিতে কর্মীদের লিখেছেন সেকথা। সংস্থার সংস্কৃতিতে সুস্পষ্ট বদল আনার চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে নাদেল্লা লিখলেন ‘সংস্থার চার দেওয়ালের ভিতর সঠিক সংস্কৃতি তৈরি করা শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং সবচেয়ে দরকারি কাজ।’

image


টেকস্পার্কসের মঞ্চে জলবৎ তরলং করে মাইক্রোসফ্‌টের দর্শন পরিবেশন করলেন মাইক্রোসফটের অ্যাজিওরের কান্ট্রি হেড শ্রীকান্ত কর্নাকোটা। ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে মাইক্রোসফট অ্যাজিওরের খ্যাতি ভুবনজোড়া। আজ যেন তারা সাফল্যের কুতুব মিনারের চূড়ায় দাঁড়িয়ে। কিন্তু ভুললে চলবে না যে সিঁড়িভাঙা পথে ওপরে উঠতে গেলে পরিশ্রম অনিবার্য। থাবা বসাবে ক্লান্তি। অনেক ঘাম-রক্ত, সুনিপুণ স্ট্যাট্রেজি। সেকথা বলতে গিয়ে শ্রীকান্ত জানালেন, ‘এক একটা ইট দিয়ে যেমন বাড়ি তৈরি হয়, সেরকম সংস্থার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে কর্মীদের মূল্যবোধের ওপর দাঁড়িয়ে।’ আরও সহজ করে বললে, কোনও সংস্থার সাফল্যের জন্য চাই সংস্কৃতি। সঠিক সংস্কৃতির জন্য চাই মূল্যবোধ।

প্রশ্ন উঠতে পারে, মাইক্রোসফটের সংস্কৃতি কী? তার মূল্যবোধই বা কোন পথ নির্দেশ করছে? শ্রীকান্তর জবাব, ‘কর্মীদের চিন্তা-ভাবনা হতে হবে উন্নয়নমুখী। সঙ্গে চাই সৃষ্টিশীলতা, ক্রেতার রুচি-পছন্দকে মর্যাদা দেওয়া এবং ঐক্যবদ্ধ মাইক্রোসফট গঠনের সংকল্প।’ কর্মীদের উদ্দেশ্যে মাইক্রোসফট বলছে ‘প্রতিযোগিতাকে ভয় পাওয়ার বদলে উপভোগ করুন।’ কিন্তু এসবে কাজ কতটা হচ্ছে? উত্তরে শ্রীকান্তের গলায় যেন গর্বের সুর। ‘ক্লাউড‌ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আমরা অনেকটাই সফল। আমাদের ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।’

কর্মীদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধকে বিকশিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে সত্য নাদেল্লা বলেছেন, ‘সংস্থায় যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের যদি মূল্যবোধ না থাকে, তবে নীচুতলার কর্মীরা শিখবেন কী করে। মনে রাখতে হবে, লেফটন্যান্টদের দেখেই কিন্তু জওয়ানরা শেখে।’ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট মেধাকে গুরুত্ব দিচ্ছে ঠিকই। সঙ্গে দেখা হচ্ছে সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ। পাঠক, কি বলবেন একে সাংস্কৃতিক বিপ্লব? শ্রীকান্ত বলছেন, ‘সংস্কৃতিই প্রধান। কালচার ইজ এভরিথিং।’