Dunzo-র ঝোলায় ঝনঝন করছে মার্কিন ডলার

Dunzo-র ঝোলায় ঝনঝন করছে মার্কিন ডলার

Friday March 11, 2016,

3 min Read

ব্যাঙ্গালুরুর টাস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ 'Dunzo', Aspada এবং Blume Ventures দের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই জোগাড় করে ফেলেছে ৬৫,০০০ মার্কিন ডলারের ফান্ড। তাছাড়াও রাজন আনন্দন আর সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মতো অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর Dunzo-র হাত ধরেছেন। Artificial Intelligence(AI) আর হিউম্যান অপারেটররদের দিয়ে Dunzo প্রতিদিন তার উপভোক্তার সমস্যা সমাধানের সূত্র দিয়ে চলেছে।

image


২০১৫ নাগাদ অঙ্কুর আগরওয়াল, ডালভির সুরি, মুকুন্দ ঝাঁ আর কবির বিশ্বাস বিশেষ কিছু স্থানীয় বিষয়ের আবিষ্কার জনিত সমস্যা এবং তার সমাধানের কথা ভেবে Dunzo বানান। Dunzo চ্যাটের মারফত প্রত্যেককে ‘To do lists’ বানানোর অনুমতি দেয়। এইভাবেই উপভোক্তা তাদের পার্টনার কিংবা ভেন্ডরের সঙ্গে একত্রে কাজ করে লিস্ট থেকে সমস্যাকে বাতিল করতে সমর্থ হন। মূলত প্রযুক্তিবিদদের নিয়েই Dunzo র ১৯ জনের টিম তৈরি।

বর্তমানে চারটি প্রধান ক্যাটাগরিতে এই টিম দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে,জায়গায় জায়গায় জাহাজের সামগ্রির প্যাকেজিং,সামগ্রির ক্রয়,মেরামত এবং হোম সার্ভিস। Dunzo-র দাবি তাদের ২৪ ঘন্টা আর দিনরাতের পরিষেবা মন জয় করেছে অনেক উপভোক্তার। তারা এখন সমাধান করছে বহু অদ্ভূত কিংবা বিচিত্র সমস্যার। তার মধ্যে ঘড়ি সারাই,ল্যাপটপ বা গিফ্ট কেনা ছাড়াও চটজলদি মোবাইলের ফাটা স্ক্রিন বদল কিংবা ব্যালকনি থেকে পায়রা তাড়ানো সবই অন্তর্ভুক্ত। Dunzo একটা পারসেন্টেজের কমিশন নিয়ে নেয় তাদের মারফত কাজ পাওয়া সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে।

Dunzo-র দলের লোকেরা বিশ্বাস করেন প্রথমেই সঠিকভাবে বুঝতে হবে কাস্টমার কি চাইছেন,তাঁর সমস্যাটি কি প্রকারের? তাহলেই অনেকটা কাজ হাসিল হয়ে যায়। এই সংস্থার দাবি তাঁরা নাকি শুরুর পর থেকে মাত্র এক বছরেই মাসে ১০,০০০ ট্রান্স্যাকশন সামলাচ্ছেন। কবির জানালেন তাঁদের প্রযুক্তিবিদরা প্রতিটি টাস্কের সাথে প্রতিদিন শিখছেন এবং আরও উন্নত আর শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

Blume Ventures এর ম্যানেজিং পার্টনার কার্তিক রেড্ডির বিশ্বাস Dunzo মোবাইলের প্রহরী বা ওয়াচম্যানের মতো যেটি বাণিজ্যিক আর চ্যাটিং নির্ভর টাস্ক ডিসকভারি এবং ফুলফিলমেন্ট অ্যাপ। Sahil Kini, Principal, Aspada সকলের আশা Dunzo ছোটমাপের সার্ভিস প্রোভাইডারদের বড় মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত করে বিশেষ রোজগারের পথ দেখাবে। কাস্টমাররাও উন্নতমানের পরিষেবা পেয়ে তৃপ্ত হবেন।

এই ধরনের মোবাইল নির্ভর এবং চ্যাটিং বেসড অ্যাপগুলি ভারতের সঙ্গে সঙ্গে গোটা পৃথিবী ব্যাপি ভালোই ব্যবসা করছে। যেমন ফেসবুকের মেসেনজারের ভারচুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ‘M’ এই দুনিয়ার দুঁদে খেলোয়াড়। হস্তকৃত মধ্যবর্তিতা এবং AI দিয়ে ‘M’ সব উপভোক্তাকেই টাস্ক পূরণে সাহায্য করে। ফেসবুকের বহুদিনের লক্ষ্য মেসেনজারকে এমন এক প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করা যেখানে উপভোক্তা শপিং করার সুবিধাও পাবেন। টাস্ক ম্যানেজমেন্টের জগতে Y Combinator আর ব্রিটেনের Dispatch.pm ও বেশ নাম কিনেছে।

Zirtual এঁদের থেকে একটু হটকে ব্যবসা করছে। তাঁদের টারগেট প্রফেশনালরা। Zirtual স্টার্টআপ এবং বড় কোম্পানিগুলিকে ভারচুয়াল অ্যাসিস্টেন্টস দেয়,মাসিক সাবস্ক্রিপশনের বদলে। ভারতে মুম্বাই শহরে GetMyPeon দিনাদিনি ডেলিভারি দেয়। এঁরা প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০১৫-য় ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলার জোগাঢ় করেছিল।

এখনও অবধি Dunzo-র ফোকাস ব্যাঙ্গালুরুতেই সীমাবদ্ধ। অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পরার আগে তাঁদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করতে চান তাঁরা। উপভোক্তার দাবি যাতে যথাসময়ে রক্ষিত হয় এবং আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রসার লাভের জন্য এই স্টার্টআপের অনেক দক্ষ ব্যক্তিকে দলে প্রয়োজন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এটা দেখা মজাদার হবে যে Dunzo কিভাবে ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জ এবং উপভোক্তার কঠিন আর অদ্ভূত সমস্যা মেটাতে সক্ষম হয়।