ভারতীয় মুদ্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মানে ১০০ কোটি টাকা। ভাবছেন তো হঠাৎ কেন মিলিয়ন,বিলিয়নের হিসাব নিয়ে বসলাম? আসলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই ভারতের ফুড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে। মানে আনুমানিক ৬৫.৪ বিলিয়ন ডলার (৪ লাখ কোটি)। IIM-Calcutta এবং Academic Foundation এর যৌথ রিপোর্ট বলছে এখন দেশের খাদ্য শিল্পের সামগ্রিক মূল্য ৩৯.৭১ আমেরিকান ডলার।
সমীক্ষা বলছে ভারতীয়দের মোট আয়ের ৩১% খাদ্য এবং মুদিখানার দ্রব্যে ব্যয় হয়। অন্য দেশে তা অনেকটাই কম। রিপোর্ট অনুযায়ী আমেরিকানরা মাত্র ৯% তাঁদের খাদ্যে ব্যয় করেন। ব্রাজিল ও চীনে এই ব্যয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ১৭% ও ২৫%। ২০১৩ সালেও ভারতে খুচরো বিক্রেতারা ৪৯০ বিলিয়ন মানে ৪৯,০০০ হাজার কোটি টাকার খাদ্য বেচেছেন। ২০২৩ সালের মধ্যে এটা বেড়ে দাঁড়াবে ৮৬৫ বিলিয়ন US ডলারে। খুচরো বিক্রেতারাদের লাভের ভাগ ৮% থেকে বেড়ে ২৪% হয়ে যাবে।
বিদেশী কোম্পানীগুলি এখানে কারখানা তৈরিতে ও বিনিয়োগে আগ্রহী। ফলে বাড়ছে কর্মসংস্থান। কিছু বড় বড় বিদেশী ফার্ম এখানকার কৃষক ও নির্মাতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তাঁরা নিয়ম মেনে এবং সরকারকে সঠিক বাণিজ্য কর দিয়েই ব্যবসা করছেন। বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধা নিয়ে রিপোর্টে বিস্তারিত বলা আছে। বিদেশি কোম্পানীর যোগদানের ফলে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন হচ্ছে অভিনব প্রোডাক্ট। পরিবেশ বন্ধু সুলভ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে যথাযথ বর্জ্য পরিচালন হচ্ছে। সবশেষে ভারত বিদেশে খাদ্যপণ্য রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা রোজগার করছে।