জানেন কি, রানা দাগ্গুবাটি কী দারুন উদ্যোগপতি!

জানেন কি, রানা দাগ্গুবাটি কী দারুন উদ্যোগপতি!

Tuesday September 26, 2017,

2 min Read

রানা দাগ্গুবাটি, নামটা আপনার খুব চেনা। মাহিস্মতীর সিংহাসনের দাবিদার। ভিলেন নম্বর ওয়ান। সম্প্রতি টেকস্পার্কের স্টেজে আলাপ হল সেই ব্র্যান্ডেড ব্যাড বয়ের সঙ্গে। ইওর স্টোরির চিফ এডিটর শ্রদ্ধা শর্মার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় বললেন তাঁর নিজের কথা। মনের কথা। বললেন পয়সা পেলে ব্যাড বয় সাজতে হয় ঠিকই কিন্তু আদতে তিনি "হাড়ে আমার রাগটি নেই গোছের মাটির মানুষ"। 

image


তাঁর সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা তৈরি হয়েছে বেশির ভাগটাই গসিপ কলাম পড়ে। ফলে আসল মানুষটা সম্পর্কে খুব একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হওয়ার নয়। তাই নিজের পরিচয় নিজেই দিলেন একজন স্টোরিটেলার হিসেবে। বললেন গল্প বলার স্টার্টআপ আছে তাঁর। অগমেন্টেড রিয়ালিটি আর ভার্চুয়াল রিয়ালিটি নিয়ে দারুণ আগ্রহ। ফিল্ম সংক্রান্ত নতুন স্টার্টআপ KWAN এর কথাও জানালেন রানা দাগ্গুবাটি। গল্প বলাটাই আসলে ওর কাজ। বলছিলেন, সিনেমার পর্দাই বলুন আর অ্যানিমেশন, কিংবা অগমেন্টেড আর ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সবেতেই গল্প বলাটাই রানার কাজ। তেলেগু সিনেমার বিখ্যাত পরিবারের ছেলে রানা। বছর তেত্রিশের রানা, বছর বারো আগে ভিস্যুয়াল এফেক্টের একটি কোম্পানি খোলেন। নাম দেন স্পিরিট মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। আশিটিরও বেশি সিনেমায় স্পেশাল এফেক্টের কাজ করেছে তাঁর সংস্থা। থালাইভা রজনীকান্ত অভিনীত শিবাজি থেকে শুরু করে কমল হাসানের দশাবতারম। এমনকি ভারতীয় সিনেমার সব থেকে চর্চিত বাহুবলীর স্পেশাল এফেক্টের কাজও করেছে তাঁর সংস্থা। ফলে রানার হাতযশ ছাড়া প্রভাসের জয় অসম্ভব ছিল। খুব সম্প্রতি তিনি অ্যাপস্টার তৈরি করেছেন। বিশ্বের প্রথম সিনেমার প্রোমোশনে অগমেন্টেড রিয়ালিটির ব্যবহার করল অ্যাপস্টার। রানার ছবি 'নেনে রাজু নেনে মন্ত্রী'-ই ছিল এই অ্যাপস্টারের প্রথম প্রোমোশনের ছবি।

বলছিলেন, হাসি আনন্দ, দুঃখ বেদনা, আর পেশীর আস্ফালন সবই তার কাজের একটা অংশ। ফলে শরীর ফিট রাখাটাও তাঁর জন্যে অফিসের কাজের মতই। চাকরির শর্ত মেনে শরীরটাকে তৈরি করতে হয়। বাহুবলী প্রসঙ্গে বলছিলেন, প্রথম বাহুবলী শেষ হওয়ার আগেই ১৯৫ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল। সবই তখন খরচ হয়ে গিয়েছে। কারও কোনও চাকরি নেই। টানা পাঁচটা বছর ওরা সিনেমার জন্যে দিয়ে দিয়েছিলেন। সিনেমাটা হিট না করলে কী করতেন সেই প্ল্যান বি, প্ল্যান সি নিয়েই ভাবছিলেন ওরা। কিন্তু ভিস্যুয়াল এফেক্টসের কাজটা করতে পেরে দারুণ মজাও পেয়েছেন রানা। সেটা ছিল অন্যরকম এক তৃপ্তির অভিজ্ঞতা।

তবে উদ্যোগপতি রানা কি এবার তার স্টার্টআপের জন্যে ভিসি ফান্ডিং খুঁজছেন। উত্তর সোজা সাপ্টা, গল্প বলার ব্যবসাটা ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টরা ঠিক ঠাক বোঝেন না। তারা নিশ্চিত রিটার্ন খোঁজেন। মানুষের গল্পটা ভালো না লাগলে অন্য গল্প অপেক্ষা করে। সে খুব সুখকর গল্প নয়। তাই শুক্রবারের বক্স অফিসই ভরসা। এর মধ্যেও বলে রাখি, আপনি জানেন কি ডান দিকের চোখে একটুও দেখতে পান না রানা। কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ভবিষ্যতটা এক চোখেই দারুণ দেখে ফেলেছেন। তাই একের পর এক উদ্যোগের ভিতর দিয়ে সিনেমার বাজারটা শক্ত হাতে ধরে ফেলেছেন এই নায়কোচিত ভিলেন।