ভারতের জন্য বিশ্ববাণিজ্যে লন্ডনের মিশন IE20

ভারতের জন্য বিশ্ববাণিজ্যে লন্ডনের মিশন IE20

Saturday December 05, 2015,

3 min Read

লন্ডন অ্যান্ড পার্টনারর্স। লন্ডনের মেয়রের এই অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ সংস্থার মিশন হল, দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের এমন ২০টি সংস্থাকে বেছে নেওয়া। সারা বিশ্বে ইন্ডিয়া এমারর্জিং ২০ (IE20) প্রোগ্রাম লঞ্চ করার উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে এই মিশন। বিডিও ইন্ডিয়া, নিউল্যান্ড চেজ, ইউকে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজও IE20 এর পাশে রয়েছে।

image


লন্ডন অ্যান্ড পার্টনার্সের ২ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সংস্থার সঙ্গে কাজ করার রেকর্ড রয়েছে। সংস্থাগুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করে। ভারতের বাণিজ্যকে সারা বিশ্বে পরিচিতি দিতে আমরা ইন্ডিয়া এমার্জিং প্রোগ্রাম চালু করেছি। বিশ্বের মঞ্চে ২০টি দ্রুত বেড়ে চলা দেশীয় সংস্থাকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছি, জানান লন্ডন অ্যান্ড পার্টনারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ গৌতম সেহগল। বিশ্বজুড়ে হাজারো সংস্থার প্রতিযোগিতার মধ্যে IE20 এর লক্ষ্য হল ভারতের প্রতিশ্রুতিমান ২০টি সংস্থাকে বেছে নিয়ে বিশ্বের মঞ্চে জায়গা করে দেওয়া। ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে IE20 হল বিশ্বে পরিচিতি পাওয়ার অনন্য সুযোগ। বিজয়ীরা বিশ্ব মিডিয়া এবং বাণিজ্যের নজরে পড়বে যা আন্তর্জাতিক স্তরের সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপ, এলায়েন্স এবং অন্যান্য সুবিধা পেতে পারে। বিজয়ীদের লন্ডনে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। পুরস্কার প্রদানের ওই মঞ্চ সঙ্গে আর কিছু তুলনা হয় না। কারণ এখানেই সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারী, পার্টনার, কর্মী এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযগের অন্যতম মঞ্চ।

লন্ডন অ্যান্ড পার্টনারর্সের সিইও গর্ডন ইনসের সংযোজন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ হিসেবে ভারত লন্ডন এবং ব্রিটেনের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি এবং দক্ষ কর্মী নিয়ে ভারত লন্ডনের সঙ্গে ব্যবসা বাড়িয়েছে। এবং লন্ডনে এফডিআই-এর ক্ষেত্রে ভারত যে দ্বিতীয় বড় বাজার সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই’।

IE20 এ মনোনয়নের জন্য শর্ত হল-

  • ১. সংস্থাকে ভারতীয় হতে হবে এবং ২০০০ সাল অথবা তার পর প্রতিষ্ঠিত এমন সংস্থা হতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যবসা বাড়ানোর লক্ষ্য থাকতে হবে।
  • ২. তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ, ক্রিয়েটিভ, জীবন বিজ্ঞান অথবা আর্থিক এবং ব্যবসায়িক সংস্থা হতে হবে।

গৌতম জানান, ‘আমাদের বাছাই এবং রেটিং পদ্ধতি এমনভাবে তৈরি যাতে যেকোনও ধরনের বিজনেস মডেল বিবেচনায় নিয়ে আসতে পারি’। যদিও কমবেশি সব সংস্থার একটা মানের গঠন রয়েছে। তবে ব্যবসার ধরন, প্রোডাক্ট এবং পরিষেবার বিচারে রেটিং ওঠানামা করে। সংস্থাগুলির রেটিং হয়তিনিটি প্যারামিটারে-

  • ১. বিশ্ববাজারে কর্মপরিধি
  • ২. অভিনবত্ব এবং স্বতন্ত্র
  • ৩. পারফরমেন্স

গর্ডনের মতে, ইউরোপীয় বাজারে লন্ডনের সহজ প্রবেশ এবং বিশ্বমানের ট্যলেন্টপুল ভারতীয় বাণিজ্যের জন্য লোভনীয় লক্ষ্য করে তুলেছে। লন্ডন অ্যান্ড পার্টনারর্স ভারতীয় বাণিজ্যকে এই জায়গাতেই সাহায্য করছে এবং লন্ডনকে ভারতীয়দের জন্য স্বচ্ছন্দ করে তুলছে। গৌতম জানান, এই সংস্থাগুলি বিশ্বের তাবড় বড় বড় ব্যবসায়ী এবং ডিসিশন মেকারদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সুযোগ পাবে। আর এই সুযোগে মিডিয়া এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলির নজরে পড়বে ভারতীয় সংস্থাগুলি। তার ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপ, গাঁটছড়া বাঁধা এবং নানা সুযোগের রাস্তা সহজ হবে। ২০১৬র ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে IE20 তে মনোনীত সংস্থাগুলির জন্য পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে।

লেখক-সিন্ধু কাশ্যপ

অনুবাদ-তিয়াসা বিশ্বাস